দুপর গড়িয়েছে। সূর্য হেলে পড়েছে পশ্চিমে। ক্যাফেটারিয়ায় কেউ নেই। উঠানে গাছের ছায়া। ছোট গেট দিয়ে ঢুকে হাতের বাঁয়ে দোতলায় উঠবার সিঁড়ির কোনায় বসে লিখছেন সৈয়দ শামসুল হক। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেই আশেক লেন থেকে আসবেন শামসুর রাহমান, প্যারীদাস রোড থেকে বেলাল চৌধুরী, দুটো বিল্ডিং পরেই থাকেন শহীদ কাদরী, আসবেন তিনিও। জমে উঠবে আড্ডা। নাম না বললেও বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত যে কেউ বলে দিতে পারবেন বিউটি বোর্ডিংয়ের কথা বলা হচ্ছে। বিউটি বোর্ডিংয়ে ঢুকলে ফ্ল্যাশব্যাকের মতো সব কিংবদন্তি যেন উঠে আসে চোখের সামনে। উঠে আসে বাংলা সাহিত্যের, সংস্কৃতির এক স্বর্ণযুগের সূচনাপর্বের কাল। এটা সেই সময় যখন বাংলার সংস্কৃতি জগতের পরবর্তীকালের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা তাদের পায়ের নিচের মাটি খুঁজে ফিরছেন। খুঁজে ফিরছেন সংস্কৃতির পথ।
মানুষের জীবনে কত রকমের আড্ডা রয়েছে তার ঠিক-ঠিকানা নেই। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যেন নেশা আর পেশাকেন্দ্রিক আড্ডাই বেশি হয়। বাঙালি রেনেসাঁসের কথা আমরা শুনেছি। সেই রেনেসাঁসের উদ্ভব যাদের হাত দিয়ে এবং সেই রেনেসাঁস থেকে যাদের জন্ম সেই সৃস্টিশীল প্রজন্মের বড় একটা অংশ এই বিউটি বোর্ডিংয়ে সময় কাটিয়ে আড্ডা দিয়ে আলোচনা করেই যেন নিজেদের চিন্তাকে শাণিত করেছেন। বিউটি বোর্ডিং কালের সাক্ষী হিসেবে সেই স্বর্ণালি সময় ধরে রেখেছে। নীরবে বলে চলেছে আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা।
কে না আসত এই বিউটি বোর্ডিংয়ে। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, গায়ক, অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, রাজনীতিক, ভবঘুরে, আড্ডাবাজ, ব্যবসায়ী। এদের অনেকেই পরবর্তী জীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, আবার কেউ কেউ চিরতরে হারিয়ে গেছেন, কেউ চলে গেছেন বিস্মৃতির অতলে।
কবি বেলাল চৌধুরী বিউটি বোর্ডিংয়ের স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, পুরু দেয়ালের গায়ে ছোট ছোট নিচু জানালা। মাঝখান বরাবর তারই একটির পাশে বসে কথা বলর্িছ আমি আর আদি ও অকৃত্রিম, একক ও স্বরাট ‘বিউটিয়ান’ শহীদ কাদরী। কথা বলছি মানে শুনতেই হচ্ছে বেশি। আবার সঠিক করে বলতে গেলে শোনাও নয়, গিলছি বললে অত্যুক্তি হয় না। কীভাবে এমন একটি দৃশ্য রচিত হয়েছিল আগেই বলেছি কিছুতেই মনে করতে পারছি না। যারা শহীদ কাদরীকে চেনেন তারা আমার সঙ্গে সায় দেবেন কি না জানি না, আড্ডার সমার্থশব্দের একটি হচ্ছে শহীদ কাদরী। শুধু আড্ডাবাজই নয়, আড্ডাবাজ শব্দটিকে রবারের মতো রাজাধিরাজ পর্যন্ত টেনে নিতেও কষ্ট হওয়ার কথা নয়।’ বিউটি বোর্ডিংয়ের অন্যতম স্বত্বাধিকারী তারক সাহা বলছিলেন, এখানে কবি সাহিত্যিকদের আড্ডার জনক ছিলেন কবি শহীদ কাদরী। বাবার মুখে শুনেছি তিনিই প্রথম এখানে আসা শুরু করেন। পরে তার ডাকে অন্যরা আসতে থাকেন। ধীরে ধীরে জমে ওঠে আড্ডা।
বিউটি বোর্ডিংয়ের সেই সময়ের আড্ডার সদস্য ও ‘বিউটি বোর্ডিং সুধী সংঘ ট্রাস্ট’-এর কো-চেয়ারম্যান কবি আসাদ চৌধুরী বললেন, পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় আধুনিক চিন্তার কেন্দ্রভূমি হিসেবে গড়ে ওঠা স্থানটি হচ্ছে বাংলাবাজারের বিউটি বোর্ডিং। তখনো আর্ট কলেজ হয়নি, বাফা হয়নি। তখন কবি সাহিত্যিক শিল্পীরা বিউটি বোর্ডিংয়ে বসে ভাবনার আদান-প্রদান করতেন। এখানে বসেই তারা ভাষা আন্দোলন করবার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন স্বাধিকার আন্দোলনের, প্রেরণা নিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের। সাহিত্য, চলচ্চিত্র, নাট্য আন্দোলনে যারা আজকে মহীরুহ, সম্মানিত— তাদের আঁতুড়ঘর হলো এই বিউটি বোর্ডিং।
আড্ডার অপর নাম বিউটি বোর্ডিং
সৈয়দ শামসুল হক যে টেবিলে বসে লিখতেন সে টেবিলে আর কেউ বসতেন না। তিনি না থাকলে সেটা ফাঁকা পড়ে থাকত। তবে ৫৭ থেকে ৬২—এ কটা বছর রাতের ঘুম বাদ দিলে পুরোটা সময় সেই টেবিলে বসেই লিখেছেন তিনি। সব্যসাচী লেখকের এই সময়কালের প্রায় সব লেখাই বিউটি বোর্ডিংয়ে বসে লেখা। বিউটি বোর্ডিং প্রসঙ্গে সৈয়দ শামসুল হক লিখেছেন, ‘তখন আমার লেখার জায়গা ছিল না। বাসার বারান্দায় বাঁশ দিয়ে ঘেরা একটি জায়গায় থাকতাম আমি। লেখার জন্য আমি বিউটি বোর্ডিং ব্যবহার করতাম। এই ভবনের পাশের কোনায় যে জানালাটি দেখা যায়, সেখানে চেয়ার-টেবিল পেতে আমি লিখতাম। সকাল ৮টা থেকে ১০টা-১১টা পর্যন্ত লিখতাম, তারপর বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আবার দুপুর ২টা কি আড়াইটায় আসতাম, বিকাল সাড়ে ৫টা-৬টা পর্যন্ত লিখতাম, তারপর আড্ডা শুরু হতো। রাত সাড়ে ৯টা-১০টায় আড্ডা ভেঙে গেলে আবার ঐ কোনায় বসে লিখতাম। ৫৭ থেকে ৬২ সাল পর্যন্ত সময়ের লেখাগুলো, প্রায় সব লেখা এই বিউটি বোর্ডিংয়ের ওই কোনায় বসে লেখা।’
দেশভাগের পর বাংলাবাজার হয়ে ওঠে মুদ্রণ ও প্রকাশনার অন্যতম কেন্দ্র। বাংলাবাজারকে ঘিরে চলতে থাকে সাহিত্যচর্চা। আড্ডাপ্রিয় বাঙালি জড়ো হতেন সেখানে। শুধু চায়ে কি আর গল্প জমে! চায়ের সঙ্গে ছিল চপ-কাটলেটের সমাহার। আশেক লেনে থাকতেন কবি শামসুর রাহমান, কবি শামসুল হকের বাস লক্ষ্মীবাজারে আর বিউটি বোর্ডিং-এর পাশেই থাকতেন কবি শহীদ কাদরীর। বাগান ঘেরা সবুজ ঘাঁসে ছাওয়া চত্বরে বিকালের জমজমাট আড্ডায় তারা তো থাকতেনই, সঙ্গে যোগ দিতেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান হাফিজুর রহমানের মতো আরো অনেকে। শুধু কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরাই নন, ভিড় জমাতেন সাধারণ পেশাজীবী মানুষও।
আড্ডার কুশীলব
বিউটি বোর্ডিংকে বিভিন্ন সাহিত্য, কবিতার আঁঁতুড়ঘর বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এখান থেকেই সূত্রপাত আহম্মদ ছফা সম্পাদিত পত্রিকা ‘স্বদেশ’সহ আরো কয়েকটি সাহিত্য সাময়িকী। অনেকে তাদের জীবনের সেরা লেখাটি লিখেছেন বোর্ডিং চত্বরে বসে। আবদুল জব্বার খান পরিকল্পনা করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ নির্মাণের। চিত্রনাট্যের বেশকিছু অংশ লিখেছেনও এখানে বসেই। এ বোর্ডিংয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য আরো আসতেন ফজলে লোহানী, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী, চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, সমর দাস, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আল মাহমুদ, সত্য সাহা, গোলাম মুস্তফা, খান আতাউর রহমান, জহির রায়হান, কবি বেলাল চৌধুরী, আনিসুজ্জামান, সন্তোষ গুপ্ত, ফজল শাহাবুদ্দিন, কবি ইমরুল চৌধুরী, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, শফিক রেহমান, আসাদ চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ প্রমুখ। সমর দাস অনেক বিখ্যাত গানের সুর বেঁধেছেন এখানে আড্ডা দেয়ার অবসরে। জাদুশিল্পী জুয়েল আইচও বেশ অনেকটা সময় কাটিয়েছেন ্ইে বিউটি বোর্ডিং-এ। কবি নির্মলেন্দু গুণ তো একসময় বাস করতেন এই বোর্ডিং-এ। এই কবি-সাহিত্যিকদের লেখাতেও উঠে এসেছে বিউটি বোর্ডিং। দেশ ভাগের আগে এ ঐতিহাসিক ভবনে সোনার বাংলা পত্রিকা অফিসে পা রেখেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।
বিউটি বোর্ডিং-এর জন্মকথা
পুরানো ঢাকার বাংলাবাজার ধরে এগিয়ে বাঁয়ে মোড় নিলে প্যারীদাস রোড। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এ রোডের একপাশে শ্রীশদাস লেনে ঢুকেই সামনে একসময়ের জমিদার বাড়ি। বয়সের ভারে মলিন। এ জমিদারবাড়ির পাশেই দেয়াল ঘেরা ছোট্ট উদ্যান শোভিত হলুদ দোতলা বাড়ি। এটাই ‘বিউটি বোর্ডিং’। বাড়িটি নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে এ বাড়িতে গড়ে উঠেছিল সোনার বাংলা পত্রিকার কার্যালয়, সঙ্গে ছিল ছাপাখানা। পত্রিকার সম্পাদক সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়। এ সূত্রেই ভবন মুখর হয়ে উঠতো শিল্পী, কবি-সাহিত্যিকদের পদচারণায়। এ পত্রিকাতেই ছাপা হয় কবি শামসুর রাহমানের প্রথম কবিতা।
১৯৪৭-পরবর্তী দুই বছর খালিই পড়েছিল ভবনটি। ১৯৪৯ সালে তা ভাড়া নেন দুই ভাই নলিনী মোহন সাহা ও প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা। নলিনী মোহন সাহার বড় মেয়ের নাম বিউটি। তার নামেই এই বিউটি বোর্ডিং।
বাংলা বাজারে বইয়ের বাজার
কলকাতায় যাত্রা শুরু করে ‘নবযুগ লাইব্রেরী’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নামকরণ করেন ‘নওরোজ লাইব্রেরী’। পরে এই লাইব্রেরী দু্ ভাগ হয়ে নামকরণ হয় নওরোজ সাহিত্য সম্ভার ও নওরোজ কিতাবিস্তান এ। নওরোজ কিতাবিস্তানও পরে বিক্রি হয়ে যায়। তবে মোহাম্মদ নাসির আলীর ছেলে ইফতেখার রসূল জর্জ এখনও নওরোজ সাহিত্য সম্ভারের স্বত্বাধিকারী। এই হিসাবে বাংলা বাজারে মোহাম্মদ নাসির আলীই প্রথম প্রকাশক হিসাবে বইয়ের বাজারের গোড়াপত্তন করেন। দেশভাগের আগে বাবুবাজারে বেশ কয়েকটি ইসলামি বইয়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছিল। ইসলামিয়া লাইব্রেরী, মখদুমিয়া লাইব্রেরী, উসমানিয়া লাইব্রেরী প্রভৃতি। ’৪৭ সালে দেশভাগের পরে বাংলা বাজারকে ঘিরে বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে। সেইসময় গড়ে ওঠে স্টুডেন্ট ওয়েজ, নওরোজ কিতাবিস্তান, আহমেদ পাবলিশিং হাউজ। এর দশ বছরের মধ্যেই একে একে প্রতিষ্ঠা পায় মাওলা ব্রাদার্স, তাজমহল লাইব্রেরী, কোহিনূর লাইব্রেরী প্রভৃতি। এরপর বাংলা বাজারকে ঘিরেই গড়ে ওঠে বাংলা বইয়ের প্রকাশনা জগত।’
একাত্তরের হত্যাযজ্ঞ
১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ সকালে বিউটি বোর্ডিং-এ হামলা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিউটি বোর্ডিং-এর স্বত্বাধিকারী প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা, শামস ইরাণী (চলচ্চিত্র শিল্পী), সন্তোাষ কুমার দাস (ব্যবসায়ী), প্রেমলাল সাহা (ব্যবসায়ী), ক্ষিতীশ চন্দ্র দে (বোর্ডিং কর্মীর ভাই), নূর মোহাম্মদ মোল্লা (প্রতিবেশী), যোশেফ কোরায়া (অভিনেতা), শীতল কুমার দাস (ম্যানেজার), অখিল চক্রবর্তী (পাচক), সাধন চন্দ্র রায় (কর্মী), সুখরঞ্জন দে (কর্মী), কেশব দত্ত আগারওয়াল (ব্যবসায়ী), নির্মল রায় ও খোকা বাবু (সমাজসেবক), হারাধন বর্মণ (চিত্রশিল্পী), হেমন্ত কুমার সাহা (প্রকাশক), অহীন্দ্র চৌধুরী শংকর (ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব) এই ১৭ জনকে হত্যা করে। এরপরে মুক্তিযুদ্ধের সময়টা রাজাকারদের দখলে চলে যায় বোর্ডিং। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর দুই ছেলে তারক সাহা ও সমর সাহাকে নিয়ে ফিরে আসেন প্রহ্লাদ সাহার সহধর্মিণী প্রতিভা সাহা। আবারো নতুন উদ্যমে শুরু করলেন বোর্ডিংয়ের কার্যক্রম। এখনো তাদের পরিচালনায় চলছে এটি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবি বেলাল চৌধুরী ও শহীদ কাদরী, কবি রফিক আজাদ আবারো আড্ডা জমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো আর ফিরে আসেনি। অনেকে আসতেও শুরু করেছিলেন, তবে জমেনি। তা বলে পুরানো আড্ডার কাল মিথ্যা হয়ে যায় নি।
বিউটিয়ানদের পুনর্মিলনী
বিউটি বোর্ডিং-এ যারা আড্ডা দিতেন তাদের বলা হয় ‘বিউটিয়ান’। বিউটি বোর্ডিং এ ‘আড্ডা পুনর্মিলনী’র আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। সে বছরই কবি ইমরুল চৌধুরী গড়ে তোলেন ‘বিউটি বোর্ডিং সুধী সংঘ’ ট্রাস্ট। ১৯৯৮ সালে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। ট্রাস্টির প্রধান হয় ইমরুল চীেধুরী এবং প্রহ্লাদ সাহার ছোট ছেলে তারক সাহাকে করা হয় সদস্য সচিব। ট্রাস্টি বোর্ডটি ৬০ সদস্যবিশিষ্ট। আর রয়েছে ১১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি রয়েছে। তবে এই বোর্ডিং এর সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। প্রয়োজন এই ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতা। কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিউটি বোর্ডিং-এর দিকে নজর দেই না। আমরা এ বোর্ডিং-এর প্রতি, তার অবদানের প্রতি নজর দিলাম না। আমরা জাতি হিসেবে অকৃতজ্ঞই থেকে গেলাম।