ABOUT US

বিউটি বোর্ডং বাংলাদেশের ঢাকার পুরনো অংশের বাংলা বাজারে ১নং শ্রীশদাস লেনে অবস্থিত একটি দোতলা পুরাতন বাড়ি যার সাথে বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস জড়িত এবং বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির গুণী মানুষদের আড্ডার একটি কেন্দ্র বা ইতিহাসের ভিত্তিভূমি বলে মনে করা হয়। বিউটি বোর্ডং এর জন্মলগ্ন থেকেই এখানে আড্ডা দিতেন প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক, চিত্রপরিচালক, নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এখানে যারা আড্ডার আসরে আসতেন এদের মধ্যে কবি শামসুর রাহমান, রণেশ দাসগুপ্ত, ফজলে লোহানী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, ব্রজেন দাস, হামিদুর রহমান, বিপ্লব দাশ, আবুল হাসান, মহাদেব সাহা, আহমেদ ছফা, হায়াৎ মাহমুদ, সত্য সাহা, এনায়েত উল্লাহ খান, আল মাহমুদ, আল মুজাহিদী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, ড. মুনতাসীর মামুন, ফতেহ লোহানী, জহির রায়হান, খান আতা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, নির্মল সেন, ফয়েজ আহমদ, গোলাম মুস্তাফা, খালেদ চৌধুরী, সমর দাশ, ফজল শাহাবুদ্দিন, সন্তোষ গুপ্ত, আনিসুজ্জামান, নির্মলেন্দু গুণ, বেলাল চৌধুরী, শহীদ কাদরী, ইমরুল চৌধুরী, সাদেক খান, ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, শফিক রেহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, আসাদ চৌধুরী, সিকদার আমিনুর হক, জুয়েল আইচ প্রমুখ

ইতিহাস

বিউটি বোর্ডিং বাড়িটি ছিল নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের। দেশভাগের আগে সেখানে ছিল সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস।কবি শামসুর রহমানের প্রথম কবিতা মুদ্রিত হয়েছিল এ পত্রিকায়। দেশভাগের সময় পত্রিকা অফিসটি কলকাতায় চলে যায়। এরপর পঞ্চাশের দশকে দুই ভাই প্রদাহ চন্দ্র সাহা ও নলিনী মোহন সাহা এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলেন বিউটি বোর্ডিং। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বিউটি বোর্ডিংয়ে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে নিহত হন প্রহাদ চন্দ্র সাহাসহ ১৭ জন। সেই সময় প্রদাহ চন্দ্রের পরিবার জীবন বাঁচাতে চলে যান ভারতে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭২ সালে প্রদাহ চন্দ্রের স্ত্রী শ্রমতী প্রতিভা সাহা দুই ছেলে সমর সাহা ও তারক সাহাকে নিয়ে বিউটি বোর্ডিং আবার চালু করেন। বিউটি বোর্ডিংয়ের মুখর আড্ডা আগের মতো না থাকলেও খাবার ঘরে এখনো খদ্দেরের ভিড় লেগেই থাকে। নগরের ভোজনরসিকরা এখানে ছুটে আসেন। আর নিয়মিত খান পুরোনো ঢাকার বইয়ের মার্কেটের নানা শ্রেণীর মানুষ।

Beauty Boarding, the writer-publisher rendezvous, has changed drastically in Bangla Bazaar over the years. This old motel-cum-restaurant situated at the end of the Bangla Bazaar street, on the verge of Paridas road, once was the hub for creative and progressive chit-chatting.

It has been said that, Once Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman came to Beauty Boarding for its famous adda (chitchat). Currently the place is managed by Tarok Saha and Somor Saha, sons of Prohallad Saha who was killed in 1971 along with 17 other staffs and boarders of this place.

Before the liberation war movement, this place was frequented by creative people from various fields – writers, artists, film directors, politicians, singers and composers. Now-a-days, a group of writers arranges a get-together once a year in memory of that time. The menacing traffic of Old Dhaka as the sole reason for losing the culture of gossiping at Bangla Bazaar that had developed centering Beauty Boarding years ago.

Poet Nazrul used to come to 14 Bangla Bazaar, where was the office of Begum magazine, and the writer Nasir Ali used to sit at Nawroze, which was the reason to turn this place a hub for writers. However, Now a days there is no longer need for such a gathering, as writers do not need to come to the publishers for submitting their works or proof reading. With the advent of technology they can do those things from their home. Rather, he finds coming to Bangla Bazaar just for chitchat, a waste of time.

Milestones

ইতিহাস

১৯৭২

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭২ সালে প্রদাহ চন্দ্রের স্ত্রী শ্রমতী প্রতিভা সাহা দুই ছেলে সমর সাহা ও তারক সাহাকে নিয়ে বিউটি বোর্ডিং আবার চালু করেন

১৯৭১

১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বিউটি বোর্ডিংয়ে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে নিহত হন প্রহাদ চন্দ্র সাহাসহ ১৭ জন

১৯৪৯

পঞ্চাশের দশকে দুই ভাই প্রদাহ চন্দ্র সাহা ও নলিনী মোহন সাহা এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলেন বিউটি বোর্ডিং

১৯৪৮

সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস

কবি শামসুর রহমানের প্রথম কবিতা মুদ্রিত হয়েছিল এ পত্রিকায়

১৯৪৭

বিউটি বোর্ডিং ছিল  নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের বাড়ি

Testimonials

What They Are Saying