পুরান ঢাকা। পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের গন্ধ। সময়ের আবর্তে পরিবর্তন এসেছে অনেক। কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইতিহাস ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে এখনো হারিয়ে যায়নি ঐতিহ্য; রয়েছে কিছু স্মৃতি ও কিছু নিদর্শন। কালের পুরানে মাঝে মধ্যে স্মৃতি ফিকে হয়ে এলেও জীর্ণ-শীর্ণ দালানের আলেখ্যে আবারো তা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মনের মণিকোঠায়। নতুন প্রজন্মেরও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে দেরি করে না আবহমান কালের সে নিদর্শন। বিউটি বোর্ডিংয়ের এখনকার অবকাঠামোটি দেখলে ঠিক এ কথাগুলোই মনের কোণে উঁকি দেয়। এ দালানই একসময় মুখর হয়ে উঠত তরুণ লেখক, কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার, সুরকারের কলকাকলিতে। এখনো হয়, কিন্তু সেই প্রাণবন্ত আড্ডা আর নেই। আধুনিক তরুণ সমাজ এখন ব্যস্ত ক্যারিয়ার গড়তে। পাল্টে গেছে চিন্তাধারার গতিপথও। জাঁকিয়ে আড্ডা দেয়ার সময় নেই কারো কাছে এক ফোঁটা। তবুও ইতিহাস সঙ্গী করে বিউটি বোর্ডিং দাঁড়িয়ে আছে অভিমানের পাহাড় নিয়ে।
বাহাদুর শাহ পার্ক পেছনে ফেলে একটু এগোলেই বাংলাবাজার। চোখে পড়ে সারি বাঁধা বইয়ের দোকান। বহু ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকা সদর ডাকঘরও নজর কাড়ে এক মুহূর্তের জন্য। জমজমাট বইয়ের ব্যবসায় ব্যস্ত দোকানির সঙ্গে কুলি-মজুরদের হাঁকডাক। দিস্তায়-দিস্তায় ছাপা বইয়ের পৃষ্ঠার বান্ডিলের পাশাপাশি বাঁধাই বই ভ্যান থেকে ওঠাতে-নামাতে ব্যস্ত কুলিরা। জীবিকার কথা ভেবে অন্যদিকে তাকানোর সময় নেই কোনো। কাজ শেষ হলেই মিলবে দিন যাপনের খোরাক। বাংলাবাজারের এ কর্মচাঞ্চল্যকে আরো শব্দমুখর করে তুলেছে ছোট রাস্তা দিয়ে ছুটে যাওয়া রিকশা, সিএনজির হর্ন। কখনো চার চাকার গাড়ি এলে বেধে যায় যানজট। এর গোলমালে হাঁপিয়ে ওঠে শহুরে জীবন। তবুও চলছে সব নিজস্ব গতিতে, চলতে হয়। বাংলাবাজার থেকে এগিয়ে বাঁয়ে মোড় নিলে প্যারিদাস রোড। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এ রোডের এক পাশে শ্রীশদাস লেনের ঘুপচি গলির দুই ধারের দোকানগুলো দিন-রাত সবসময়ই থাকে কোলাহলমুখর। এরই এক পাশে দেখা মেলে পলেস্তারা খসে যাওয়া ইমারতের। একসময়ের জমিদার বাড়ি। বয়সের ভারে এখনো তা ন্যুব্জ হয়ে না পড়লেও বেশ মলিন।
জমিদার বাড়ির কোলঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে দোতলা বাড়ি। ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে প্রধান ফটকটির চেকনাই ধরে রাখার চেষ্টা বোঝা যায় খুব। লোহার গেট পেরিয়ে ভেতরে গেলেই উঠোন। সেখানে গড় তোলা বাগানে ফুটে রয়েছে হরেক ফুল। পাশের বেশকিছু দেয়ালে ঝোলানো প্ল্যাকার্ডে বড় করে লেখা ‘ফুল ছিঁড়বেন না’, ‘গাছে হাত দেবেন না’। বাগান পেরিয়ে যেতেই হলুদ রঙের দালানের এক কোণে লেখা ‘বিউটি বোর্ডিং’।
বাড়িটি নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের আগে ওই দালানে গড়ে উঠেছিল সোনার বাংলা পত্রিকার কার্যালয়, সঙ্গে ছিল ছাপাখানাও। সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়। এ সূত্রেই ভবন মুখর হয়ে ওঠে শিল্পী, কবি-সাহিত্যিকদের পদচারণায়। সোনার বাংলা পত্রিকাতেই ছাপা হয় শামসুর রাহমানের প্রথম কবিতা। দেশ ভাগের সময় পত্রিকা কার্যালয়টি নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়।
১৯৪৭-পরবর্তী দুই বছর খালিই পড়েছিল ভবনটি। ১৯৪৯ সালে তা ভাড়া নেন দুই ভাই নলিনী মোহন সাহা ও প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা। নলিনী মোহন সাহার বড় মেয়ের নাম বিউটি। তার নামেই গড়ে তুললেন বিউটি বোর্ডিং। যাত্রাটা হলো খুবই সাদামাটাভাবে। প্রথম দিকে দুই-একটি রুম ভাড়া দেয়া হতো। কিন্তু পরে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে হয়। ব্যবসা জমে উঠলে সুুধীর চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ কাঠার জমিটি বুঝে নেন প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা।
দেশ ভাগের পর বাংলাবাজার হয়ে ওঠে মুদ্রণ ও প্রকাশনার অন্যতম কেন্দ্রস্থল। এ সূত্রেই ভবন মুখর হয়ে ওঠে শিল্পী, কবি-সাহিত্যিকদের পদচারণে। বাংলাবাজারকে মধ্যমণি করে চলতে থাকে সাহিত্যচর্চা। প্রথম দিকে দালানের ওপর তলায় গড়ে ওঠে আবাসিক হোটেল। কক্ষ মিলত খুবই সস্তা দরে। শুধু চা-জলখাবারেই সন্তুষ্ট থাকতে হতো অতিথিকে। তবে তাতেও ভাটা পড়েনি আড্ডায়। আড্ডাপ্রিয় বাঙালি চায়ের টেবিলে ঝড় তোলার জন্যই জড়ো হতেন সেখানে। গল্প জমে ওঠার আরেকটি কারণ বোধহয় চায়ের সঙ্গে থাকা চপ-কাটলেটের সমাহার। সেই আসর থেকেই উঠে এসেছেন আজকের মহান ব্যক্তিত্বরা। আশেক লেনে থাকতেন শামসুর রাহমান। কবি শামসুল হকের বাস লক্ষ্মীবাজারে। আর বিউটি বোর্ডিংসংলগ্ন এক দালানে আস্তানা ছিল কবি শহীদ কাদরীর। বাগান ঘেরা সবুজ চত্বরে বিকালের জমজমাট আড্ডায় তারা তো থাকতেনই, সঙ্গে যোগ দিতেন আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান হাফিজুর রহমানের মতো আরো অনেকে। আড্ডার জন্য সেসময় মুসলিম সুহূদ সম্মিলনী, নবাববাড়ি ঢাকা কার্যালয়ের মতো স্থান থাকলেও সবাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন এখানেই। শুধু কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরাই নন, ভিড় জমাতেন সাধারণ পেশাজীবী মানুষও।
বিউটি বোর্ডিংকে বিভিন্ন সাহিত্য, কবিতার আঁতুড়ঘর বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এখান থেকেই সূত্রপাত আহম্মদ ছফা সম্পাদিত পত্রিকা ‘স্বদেশ’সহ আরো কয়েকটি সাহিত্য সাময়িকী। আড্ডার ফলশ্রুতিতেই অনেকে তাদের জীবনের সেরা লেখাটি লিখেছেন বোর্ডিং চত্বরটিতে বসে। আবদুল জব্বার খান পরিকল্পনা করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ নির্মাণের। শোনা যায় চিত্রনাট্যের বেশকিছু অংশ লিখেছেনও এখানে বসেই। এ বোর্ডিংয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য আরো আসতেন ফজলে লোহানী, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী, চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, সমর দাশ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আল মাহমুদ, সত্য সাহা, গোলাম মুস্তফা, খান আতা, জহির রায়হান, বেলাল চৌধুরী, আনিসুজ্জামান, সন্তোষ গুপ্ত, ফজল শাহাবুদ্দিন, কবি ইমরুল চৌধুরী, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, শফিক রেহমান, আসাদ চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ প্রমুখ। সমর দাস অনেক বিখ্যাত গানের কথায় সুর বসিয়েছেন এখানে আড্ডা দেয়ার ফাঁকেই। জাদুশিল্পী জুয়েল আইচও বেশ কয়েক রাত কাটিয়েছেন বিউটি বোর্ডিংয়ে। শোনা যায়, দেশ ভাগের আগে এ ঐতিহাসিক ভবনে পা রেখেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ও পল্লীকবি জসীমউদ্দীন।
বোর্ডিং শুরুর পর সব মিলিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটছিল। প্রগতিশীল কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকদের আঁতুড়ঘরে নবীন তাজা রক্তের বীজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাই ১৯৭১ সালে দেশজুড়ে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে প্রভাব এখানে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাক জান্তা ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের শ্যেন দৃষ্টি এড়াতে পারেনি বিউটি বোর্ডিং। বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীলদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে ২৮ মার্চ সকালে হামলা চালায় হানাদার বাহিনী। প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা, শামস ইরাণী (চলচ্চিত্র শিল্পী), সন্তোষ কুমার দাস (ব্যবসায়ী), প্রেমলাল সাহা (ব্যবসায়ী), ক্ষিতীশ চন্দ্র দে (বোর্ডিং কর্মীর ভাই), নূর মোহাম্মদ মোল্লা (প্রতিবেশী), যোশেফ কোরায়া (অভিনেতা), শীতল কুমার দাস (ম্যানেজার), অখিল চক্রবর্তী (পাচক), সাধন চন্দ্র রায় (কর্মী), সুখরঞ্জন দে (কর্মী), কেশব দত্ত আগারওয়াল (ব্যবসায়ী), নির্মল রায় ও খোকা বাবু (সমাজসেবক), হারাধন বর্মণ (চিত্রশিল্পী), হেমন্ত কুমার সাহা (প্রকাশক), অহীন্দ্র চৌধুরী শংকর (ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব)— এ ১৭ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকসেনারা। এভাবে রাজাকারদের দখলে চলে যায় বোর্ডিং। প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহার পরিবার পাড়ি জমায় ভারতে। যুদ্ধের সময়টুকু বন্ধই ছিল বিউটি বোর্ডিং। ১৯৭২ সালে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে এলে দুই ছেলে তারক সাহা ও সমর সাহাকে নিয়ে ফিরে আসেন প্রহ্লাদ সাহার সহধর্মিণী প্রতিভা সাহা। আবারো নতুন উদ্যমে শুরু করলেন বোর্ডিংয়ের কার্যক্রম। এখনো তাদের পরিচালনায় চলছে এটি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবি বেলাল চৌধুরী ও শহীদ কাদরী আবারো আড্ডা জমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চাঞ্চল্যকর মুহূর্তগুলো আর ফিরে আসেনি। তবে সৈয়দ শামসুল হক এখান থেকেই সৃষ্টি করেছেন এক মহিলার ছবি, জনক ও কালো কফিন, আরণ্যক, সীমানা ছাড়িয়ের মতো সাহিত্যকর্মগুলো।
বিউটি বোর্ডিংয়ের ঐহিত্যকে অম্লান রাখতে কম চেষ্টা করা হচ্ছে না। ‘আড্ডা পুনর্মিলনী’র আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। ওই বছরই ইমরুল চৌধুরী গড়ে তোলেন ‘বিউটি বোর্ডিং সুধী সংঘ’। নতুন সাহিত্য সমাজের কাছে ওইদিন স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দেন পুরনোরা। তার উদ্যোগেই ২০০৩ সালে ৬০ সদস্যের এক ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়, নাম ‘বিউটি বোর্ডিং সুধী সংঘ ট্রাস্ট’। ট্রাস্টি বোর্ড আবেদনকৃত বিউটিয়ানরা হচ্ছেন— শামসুর রাহমান, শহীদ কাদরী, সৈয়দ শামসুল হক, আল মাহমুদ, ফজল শাহাবুদ্দিন, ড. আনিসুজ্জামান, বেলাল চৌধুরী, নূরুল হক বাচ্চু, রফিক আজাদ, আসাদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, জিয়া আনসারী, নির্মল সেন, গোলাম মুস্তাফা, ফারুক আলমগীর, শহীদ সিনহা, এম. সিরাজুল ইসলাম, সমরজিত্ রায় চৌধুরী, ফিরোজ কবীর মুকুল, সাযযাদ কাদির, জাহিদুল হক, হাজী মো. ইউনুস, মোফাজ্জল হোসেন বিধু, আবদুল রহিম (বাদশা ভাই), পিনাকি দাস, মৃণাল কান্তি রায়, রশিদ হায়দার, জাহাঙ্গীর হাবিবুল্লাহ, মাহমুদ আবু সাঈদ, পান্নালাল রায়, মো. মনসুর হোসেন, আমিরুল হক জিলু, সত্যগোপাল পোদ্দার, আজিজ ইউ আহমেদ, জাকারিয়া সিরাজী, আবদুল হান্নান, আবদুর রহিম, ফখরুল ইসলাম, বিজন সরকার, অগাস্টিন রডরিক্স, ইকবাল হায়াত খান, জর্জ ডি রোজারিও, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ জাকারিয়া, নূরুল করিম নাসিম, মুজিবুল হক, আবু নাহিদ, ফয়জুর রহমান মিন্টু, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট সি এন ইউসুফ, ফরিদুর রেজা সাগর, এম. আহসান উল্লাহ, প্রাণেশ সমাদ্দার, সৈয়দ আসাদুজ্জামান বাচ্চু, মাকিদ হায়দার, আমিরুল ইসলাম, বি. এম. আমিনুল ইসলাম, তারক সাহা, জুয়েল আইচ ও ইমরুল চৌধুরী।
পঞ্চাশের দশকে এখানে থাকতে ভাড়া গুনতে হতো ২-৩ টাকা। পাশাপাশি ১ টাকায় মিলত ঘরোয়া পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া। এখনো সুলভই বলা যায়। ভবনের নিচতলায় খাবার ঘর। সারি দেয়া টেবিলে স্টিলের থালা ও গ্লাস। খাবারের তালিকায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সরষে ইলিশ। বছরের যেকোনো সময়ই মিলবে মাছের রাজার দেখা। তবে বাজারে মাছের অভাব থাকলে সেদিন আর সরষে ইলিশ হয় না। সেই ইলিশের স্বাদ নিতে চাইলে খরচ করতে হবে ১৮০ টাকা। এছাড়া আরো পাওয়া যাবে মুরগি ও খাসির মাংস ১০০, খিচুড়ি ৪০, পোলাও ৫০, সবজি ৩০, বড়া ১০, চচ্চড়ি ৩০, মুড়িঘণ্ট ৭০ টাকায়। রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল, তেলাপিয়া, বেলেসহ অন্য মাছও রয়েছে। নানা রকম ভর্তার সঙ্গে থাকে শাকের সমাহার। যা পছন্দ, তা অর্ডার করলেই হাজির। সকালের জলখাবারও মিলবে এখানে। আবাসিকদের জন্য আছে ২৫টি কক্ষ। এর মধ্যে ১২টি সিঙ্গেল ও ১৩টি ডাবল। এক রুমের ভাড়া ২০০ ও ডাবল রুমের ৪০০ টাকা। নিজ হাতে থালা ধুয়ে নিতে হয় অতিথিদের। এর পরই পরিবেশন করা হয় ধোঁয়া ওঠা গরম সাদা ভাত। থালার এক পাশে থাকে লবণ, লেবু ও কাঁচামরিচ। এবার পছন্দসই খাবারটি তালিকা থেকে বেছে নিলেই হয়।
এখন বিউটি বোর্ডিংয়ে আড্ডার আসর বসে না বললেই চলে। কিন্তু এর রেশ ধরে রাখতে মাঝে মধ্যে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কলরবের অভাব কিছুটা মিটলেও সেই প্রাণ নেই। কিন্তু শিকড়ের সন্ধানে যখন মন উত্তাল হয়ে ওঠে, তখন পুরনো জায়গাগুলোয় ঢুঁ দিলে মেলে কিছু স্বস্তি। হয়তো তরুণ প্রজন্মকে শিকড়ের অনুসন্ধানেই একদিন পা বাড়াতে হবে বিউটি বোর্ডিংয়ের আঙিনায়।
ছবি: ডমিনিক হালদার